সরকারি আদিয়াবাদ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে মনীষীদের আগমন

১৯০৬ সাল বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এই ভারতবর্ষের জনগন আন্দোলনরত । হিন্দু - মুসলমানরাও পরস্পর বিরোধি অবস্থানে । রেষারেষিতে লিপ্ত । এই সময় বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন চলছিল । বাংলার মুসলমানরা তখনও শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেনি । আদিয়াবাদের কৃষক সমাজও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত । আদিয়াবাদের সচ্ছল কৃষক ময়েজউদ্দিন মোল্লা এই অঞ্চলের লোকদের একত্রিত করে  সমাজের অন্ধকার দূর করে শিক্ষার অলো জ্বালানোর সংগ্রামে লিপ্ত হন। আদিয়াবাদের কৃষক সমাজ জেগে  উঠে এবং স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন । যে যার মতো টাকা - পয়সা , জমি , ফসল , বাঁশ , কাঠ , ছন দিয়ে সাহায্য করলেন। শুরু হলো নিজস্ব অর্থায়নে মক্তবে পাঠদানের কাজ । মক্তব থেকে স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যারা অবদান রাখেন তাদের মধ্যে একজন বর্তমান । ইটাখোলার কাছে অবস্থিত সৈয়দ নগর গ্রামের রওশন আলী মীর । তিনি মোটামুটি লেখাপড়া জানা শিক্ষিত লোক । আদিয়াবাদ বাসীর আমন্ত্রণে তিনি হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য ময়েজউদ্দিন মোল্যাদের সাথে যোগ দেন । তখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এদেশের স্কুল - কলেজ -মাদ্রাসা পরিচালিত হতো । স্কুল - কলেজ - মাদ্রাসার স্বীকৃতি , রেজিস্ট্রেশন ও পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ।

১৯১২ সালে প্রায় ৫ একর জায়গার উপর আদিয়াবাদ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় নামে হাইস্কুলের যাত্রা শুরু হয় ।মুসলামানেরা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন বলে ইসলামিয়া নামটি জুড়ে দেওয়া হয় । প্রথমে বাঁশ ছন দিয়ে ঘর তৈরীকরে লেখাপড়ার কাজ শুরু হয় । ১৯১৭ সালে প্রথম প্রবেশিকা পরীক্ষায় এই স্কুলের ছাত্ররা অংশ নিয়ে চমক সৃষ্টি করে । এই স্কুলের ছাত্র আফসার উদ্দিন আহমেদ কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় নবীনগরের জমিদার বাবু
আফসার উদ্দিন সাহেবকে স্বর্ণের মেডেল উপহার দেন । শুরু হলো প্রতিযোগিতামূলক লেখাপড়া । অল্প দিনের মধ্যে বিভিন্ন অঞ্চল ও জেলা থেকে ছাত্ররা এসে এই স্কুলে ভর্তি হতে শুরু করলো । বিভিন্ন বাড়ীতে জায়গীর বা লজিং রেখে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করলেন এলাকাবাসী । এই স্কুলে অনেক নামী - দামী , জ্ঞানী - গুণী শিক্ষকগণ শিক্ষকতা করেন । এলাকাবাসী সুযোগ - সুবিধা দিয়ে ভাল - ভাল শিক্ষক নিয়োগ দিতেন এবং এখনও এ ধারা অব্যাহত আছে । ১৯৯৫ সালে এই স্কুল দ্বাদশ শ্রণি পর্যন্ত উন্নীত হয় । ৫ একর জমি , ৫ টি দোতলা ভবন , ১ টি চারতলা ভবন , বিজ্ঞানাগার , লাইব্রেরি , কম্পিউটার ল্যাব , সুদৃশ্যমান গেইট সহ বাউন্ডারি ওয়াল প্রতিষ্ঠানকে দৃষ্টি নন্দন করেছে ।

আদিয়াবাদ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সাথে সহপাঠ কার্যক্রম অত্যন্ত সুন্দর ও সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে । শিক্ষকগণ চমৎকার সুসম্পর্ক বজায় রেখে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন । সবাই সদা প্রস্তুত । যে কোন অনুষ্ঠান অতি অল্প সময়ে অনায়াসে সুসম্পন্ন করে থাকেন । ( ১ ) একাডেমিক কমিটি ( ২ ) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কমিটি ( ৩ ) কমন রুম কমিটি ( ৪ ) লাইব্রেরী কমিটি ( ৫ ) দেওয়ালিকা ও সাহিত্য পরিষদ ( ৬ ) বিজ্ঞান ক্লাব ( ৭ ) সাংস্কৃতিক ক্লাব ( ৮ ) ডিবেট ক্লাব ( ৯ ) ক্রীড়া ও সমাবেশ কমিটি ( ১০ ) পরীক্ষা কমিটি ( ১১ ) ল্যাংগুয়েজ ক্লাব সহ মোট ১৭ টি কমিটি যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করে থাকে । ফলে গতিশীলতা ও দক্ষতার সাথে সবাই কাজ করতে সক্ষম । প্রতি শনিবার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা দিবস হিসেবে পালন করা হয় । স্কাউট , গার্লস গাইড , রোভার সদস্যবৃন্দ যথাযথ দায়িত্ব পালন করে ।

২০১৭ সালে আদিয়াবাদ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র - ছাত্রীরা শীতকালীন খেলাধুলা , শিক্ষা সপ্তাহ , শিশু কিশোর প্রতিযোগিতা , গ্রীষ্মকালীন খেলাধুলা , বর্ষাকালীন খেলাধুলায় উপজেলা , জেলা ও
আঞ্চলিক পর্যায়ে অংশ গ্রহণ করে সর্বমোট ১৪১ টি পুরস্কার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে । ছাত্র - ছাত্রীদের রোল নম্বরের ভিত্তিতে ৮ টি হাউজে বিভক্ত করে অন্ত হাউজ বিতর্ক প্রতিযোগিতা , ফুটবল প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক
প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সারা বছরই ছাত্র - শিক্ষকগণ প্রাণবন্ত ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করে । নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ ও নির্ধারিত সময়ে ফল প্রকাশ করা হয় । দুর্বল ছাত্র - ছাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত ক্লাস গ্রহণ করা হয় ।
অভিভাবক সমাবেশের মাধ্যমে মতবিনিময় ও পরামর্শ করা হয় । ছাত্র - ছাত্রীদের ডায়েরীর মাধ্যমে উপস্থিতি - অনুপস্থিতি অভিভাবককে অবহিত করা হয় । জাতীয় দিবস সমূহে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা সহ প্রীতি ফুটবল ,
ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয় । ২০১৭ সালে উল্লেখিত কর্মসূচির মধ্যে পিঠা উৎসব , বাংলা বর্ষ বরণ , মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা , ইনহাউজ শিক্ষক প্রশিক্ষণ , মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে সেমিনারে সাবেক শিক্ষা সচিব
ও প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব জনাব নজরুল ইসলাম খানের আগমন , বিজ্ঞান মেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড . এস.এম. ওয়াহিদুজ্জামান মহোদয়ের আগমন । ৭ মার্চের ভাষণের
স্বীকৃতি উপলক্ষে ২৫ নভেম্বরের ট্রাক র‍্যালী , বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে সবার দৃষ্টি কেড়েছে ও প্রশংসিত হয়েছে ।

আদিয়াবাদ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের মাঠে অনেক বড় বড় টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে । গোল্ড কাপের খেলা হয়েছে । জাতীয় দলের খেলোয়াড়সহ বিদেশী খেলোয়াড় এই মাঠে খেলেছেন । আফসার উদ্দিন গোল্ড কাপ টুর্নামেন্ট অন্যতম ।

আদিয়াবাদ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের আগমন ঘটেছে ।

আগত ব্যক্তিবর্গের তালিকা নিম্নরূপ :

রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক

১। নওয়াব শাহাবুদ্দিন
২। এস.এ সেলিম ( পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী -১৯৫১ সন )
৩। বিচারপতি ফনি ভূষণ চ্যাটার্জী ( ১৯৫০/১৯৫১ সন )
৪ । জনাব আফসার উদ্দিন আহমেদ ( ১৯৬২ সন- পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধিদলীয় নেতা )
৫। মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী ( ১৯৬৬ সন )
৬। মোঃ আমজাদ হোসেন ( পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী- ১৯৬৬ সন )
৭। ফকির আবদুল মান্নান ( পূর্ব পাকিস্তানের খাদ্যমন্ত্রী- ১৯৬৬ সন )
৮। জনাব তাজউদ্দিন আহমেদ ( বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী- ১৯৭৩ সন )
৯। জনাব মাহবুবুর রহমান ( মন্ত্রী স্থানীয় সরকার , পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়- ১৯৮২ সন )
১০। এ.এস.এইচ.কে সাদেক ( শিক্ষামন্ত্রী- ১৯৯২ সন )
১১। রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু ( ডাক , তার ও টেলিযোগাযোগ ও শ্রম মন্ত্রী- ২০০৯ , ১০ , ১১ , ১২ , ১৩ সন )
১২। এ্যাড . আসাদোজ্জামান , প্রশাসক , জেলা পরিষদ ( বহুবার )

কবি , সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তি

১৩। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ( ১৯৫৪ সন ) ১৪। পল্লী কবি জসীম উদ্দিন ( ১৯৬৭ সন )
১৫। আকবর হোসেন , ঔপন্যাসিক ( ১৯৬৭ সন )
১৬। ড . নীলিমা ইব্রাহিম ( ১৯৭১ সন )
১৭। উইলিয়াম রাদিচে , ইংরেজ কবি ও রবীন্দ্র অনুবাদক , ইংল্যান্ড ( ১৯৯১ সন )
১৮। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ , বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ( ১৯৮৮ সন )
১৯। আলাউদ্দিন আল আজাদ ( অজানা )
২০। অধ্যাপক আবদুল মান্নান , উপাচার্য , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ( ১৯৮৮ সন ) ২১। মরমী কবি সাবির আহমেদ
চৌধুরী ( ২০০৮ )
২২। সমরেশ মজুমদার , সাহিত্যিক , পশ্চিম বাংলা , ভারত ( ২০০৭ সন )
২৩। অধ্যাপক ড . মনিরুজ্জামান , ভাষাবিজ্ঞানী , গবেষক , বাঙলা একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত ( বহুবার )
২৪। ম . হামিদ , টিভি ব্যক্তিত্ব ও নাট্য ব্যক্তিত্ব ( ২০০৭ সন )

২৫। সঙ্ঘমিত্রা ভাট্টাচার্য্য , সিনেমা ব্যক্তিত্ব , ভারত ( ২০০৭ সন )
২৬। আহমেদুল ইসলাম চৌধুরী , লেখক , সাহিত্যিক ( ২০০৮ সন )
২৭। মোঃ সা’দত আলী , লেখক ও গ্রন্থাগারিক ( ২০১৭ সন )
২৮। সরকার আবুল কালাম , শেকড় সন্ধানী লেখক ( ২০১৭ সন )
২৯। মোঃ হাবিবুল্লাহ পাঠান , প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক ( বহুবার )
৩০। আব্দুল আলীম , সংগীত শিল্পী ( ১৯৭০ সন )
৩১। ফেরদৌসি রহমান , সংগীত শিল্পী ( ১৯৭০ সন )
৩২। মৌসুমী কবীর ( ১৯৭০ সন )
৩৩। মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক ( ১৯৭৪ সন )
৩৪। আপেল মাহমুদ ( ১৯৭৪ সন ) ৩৫। আবিদা সুলতানা ( ১৯৭৪ সন ) ৩৬। রাশনা শ্রাবনী , কণ্ঠশিল্পী ( ১৯১৫ সন
)
৩৭। ড . মনজুরে মওলা , মহাপরিচালক , বাংলা একাডেমি

সরকারী কর্মকর্তাগণ

৩৮। ড . আতাউল হক , যুগ্ম সচিব , খাদ্য মন্ত্রণালয় ( ৬০ এর দশক )
৩৯। কাজী আকতার হোসেন , সচিব , প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় ( ২০০৫ সন )
৪০। মোঃ ফিরোজ সালাহ উদ্দিন , জেলা প্রশাসক , নরসিংদী ( ২০০৬ সন ) ৪১। বাবলু কুমার সাহা , উপ সচিব ,
শিক্ষা মন্ত্রনালয় ( ২০০৬ সন )
৪২। মোঃ কামাল উদ্দিন , জেলা প্রশাসক , নরসিংদী ( ২০০৭ সন )
৪৩। মোঃ জিল্লার রহমান , জেলা প্রশাসক , নরসিংদী ( ২০০৭ , ২০০৮ সন )
৪৪। অমৃত বাড়ৈ , জেলা প্রশাসক , নরসিংদী ( ২০০৯ সন )
৪৫। মোহাম্মদ আলী মিয়া , পুলিশ সুপার , নরসিংদী ( ২০০৯ সন )
৪৬। ড . আক্কাছ আলী , পুলিশ সুপার , নরসিংদী ( ২০১১ সন )
৪৭। জনাব আইয়ুবুর রহমান , জেলা প্রশাসক ( ১৯৯৪ সন )
৪৮। জনাব রফিকুল ইসলাম , জেলা প্রশাসক ( ১৯৯৭ সন )

৪৯। আমেনা বেগম , পুলিশ সুপার , নরসিংদী ( ২০১৬ সন )
৫০। মীর মোশারফ হোসেন , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( ২০০৬ সন )
৫১। মোঃ ওবায়দুল আজম , জেলা প্রশাসক , নরসিংদী ( ২০১৪ সন )
৫২। এ.কে.এম অলিউল্লাহ , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক , নরসিংদী ( ২০১২ সন )
৫৩। মোঃ কামাল হোসেন , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক , নরসিংদী ( ২০১৩ সন )
৫৪। মোঃ মোস্তফা কামাল , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক , নরসিংদী ( ২০১১ সন )
৫৫। মোঃ রেহান উদ্দিন , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক , নরসিংদী ( ২০১৫ সন )
৫৬। মোঃ আবুল হোসেন মোল্যা , উপসচিব ( বৃত্তি ) ঢাকা বোর্ড ( ২০১৫ সন )
৫৭। মোঃ মাহবুব হাসান ( শাহীন ) , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( ২০১৭ সন )
৫৮। মোঃ হারুন অর রশিদ সরকার , জেলা শিক্ষা অফিসার ( ২০১৭ সন ) ২০১৭ সালে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের
সেমিনারে প্রধান অতিথি

* জনাব নজরুল ইসলাম খান , সাবেক শিক্ষা সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ( ২০১৭ সন )

* প্রফেসর ড . এস.এম ওয়াহিদুজ্জামান , মহাপরিচালক , মাউশি ( ২০১৭ সন )

এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা , শিক্ষা কর্মকর্তা , অধ্যাপক , শিক্ষাবিদ , প্রকৌশলী ও বিভিন্ন দপ্তরের
কর্মকর্তা এই প্রতিষ্ঠানে আগমন করেছেন ।

১৯১৭ সালে এস.এস.সি তৎকালীন এনট্রান্স বা প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রতি বছরই ভাল ফলাফল অর্জন করেছে এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র - ছাত্রী । আমার
জানামতে , কয়েকজন খ্যাতনামা ছাত্রের নাম এখানে উল্লেখ করব । ( ১ ) জনাব আফসার উদ্দিন আহমেদ উকিল ( মরহুম ) অবিভক্ত পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সম্মিলিত বিরোধি দলের নেতা
ছিলেন এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন । ( ২ ) জনাব আয়েত আলী ( মরহুম ) সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ ছিলেন ( ৩ ) জনাব আব্দুর রশিদ আহমেদ ( মরহুম ) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের
সচিব ছিলেন ( ৪ ) প্রকৌশলী আবদুল ওয়াহেদ ( মরহুম ) স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন (৫ ) জনাব মোঃ তোফায়েল আহমেদ ( বাড়ি নোয়াখালী ) । এই স্কুলে লেখাপড়া করেছেন , গণপ্রজাতন্ত্রী
বাংলাদেশের সচিব ছিলেন । ( ৬ ) অধ্যাপক ড . মনিরুজ্জামান কবি , ভাষাবিজ্ঞানী , গবেষক , বাংলা একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন ছিলেন । ( ৭ ) প্রকৌশলী জয়নুল আবেদীন , রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন । ( ৮ ) সরকার আবুল কালাম , শেকড় সন্ধানী লেখক , গবেষক বহু বই লিখেছেন । ( ৯ ) ডাঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন , পরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর । ( ১০ ) মোঃ মাইনুদ্দিন ভূঁইয়া ( মরহুম ) সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী ছিলেন । ( ১১ ) মোঃ আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়া ( মরহুম ) সংসদ সদস্য ছিলেন ( ১৩ ) মোঃ

নজীব উদ্দিন , বিশিষ্ট ব্যাংকার , ঢাকা বোর্ডে স্ট্যান্ড করেছিলেন । ( ১৪ ) জনাব মিজানুর রহমান , হাইকোর্টের বিচারপতি । ( ১৫ ) প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান , স্থপতি ( ১৬ ) প্রফেসর ড . মোবারক হোসেন , ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক । এছাড়াও অগণিত মেধাবী ছাত্র ছাত্রী ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার , অধ্যাপক , ব্যাংকার , জজ , বিচারপতি , বি.সি.এস অফিসার , ব্যবসায়ী , শিল্পপতি আছেন যারা দেশে বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত
এবং দানশীল হিসেবে পরিচিত ।

এই প্রতিষ্ঠানে অনেক খ্যাতিমান প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেছেন যাদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হলো । ( ১ ) শ্রী নলিনী কান্ত ঘোষ ( ২ ) জনাব অছিম উদ্দিন আহমেদ ( ৩ ) জনাব আবু তাহের এম.এ.বিটি ( ৪ ) জনাব আব্দুল গনি মিয়া এম.এ ( ৫ ) জনাব মোঃ মাজহারুল হক বি.এ.বিটি ( ৬ ) জনাব সাইফুল ইসলাম বি.এ. বিএড (৭ ) জনাক খন্দকার আবু হান্নান বি.এ.বি.এড ( ৮ ) জনাব শিল্পী আহমদ ( ৯ ) জনাব সিরাজউদ্দোহার , তিনি ১৯৪০ সালে কবি গুরু রবি ঠাকুরের জন্মদিনে একটি কবিতা লিখে উপহার পাঠিয়েছিলেন , রবি ঠাকুরও তাঁকে
জবাব পাঠিয়েছিলেন । উল্লেখিত প্রধান শিক্ষক মহোদয়গণ , ব্যক্তিত্ববান , নীতিবান হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন ।

( তথ্য সূত্র : ম . বেলায়েত হোসেন , প্রাক্তন শিক্ষক , বিভিন্ন রেকর্ড , ম্যাগাজিন , এলাকার মুরব্বী , সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল কবির বি.এস.সি. বিএড থেকে প্রাপ্ত )

অধ্যক্ষ

মোঃ নূর সাখাওয়াত হোসেন মিয়া

সরকারি আদিয়াবাদ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ