শিক্ষার্থী ও শিক্ষক - শিক্ষিকাগণের পালনীয় ও করণীয় -

শিক্ষক - শিক্ষিকাগণের পালনীয় ও করণীয় -

* সাহসিকতা , সততা , ন্যায়পরায়ণতা , স্বচ্ছতা , অধ্যবসায় , পরোপকার , উদারতা , জ্ঞান আহরণ ও বিতরণ একজন শিক্ষকের অপরিহার্য গুণ ।

১। সময়মত উপস্থিত হতে হবে । কার্যদিবস শুরুর অন্তত আধা ঘণ্টা পূর্বে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হতে হবে । প্রথমেই হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে হবে ।

২ ।  সমাবেশে দাঁড়াতে হবে । জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে । স্ব - স্ব শ্রেণির শাখার দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষকগণ সু - শৃঙ্খল ভাবে সমাবেশ করার জন্য মাঠে প্রবেশ করে লাইন - ফাইল সোজা করতে হবে ।

৩ ।  ঘণ্টা পড়ার সাথে সাথে শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত হতে হবে । ২/৩ মিনিটের বেশী বিলম্ব করা যাবে না । ঘণ্টা পড়ার পূর্বেই ক্লাসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে ।

৪। পাঠ পরিকল্পনা , সিলেবাস , পাক্ষিক ও মাসিক পরিকল্পনা মোতাবেক পাঠদান করতে হবে ।

৫। শ্রেণি কার্যক্রম / পাঠদান আকর্ষণীয় করতে হবে ।

৬। নিজ ও ছাত্র - ছাত্রীদের তৈরিকৃত , ক্রয় করা ও সহজলভ্য উপকরণ ব্যবহার করতে হবে ।

৭।  ছাত্র - ছাত্রীদের নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতে হবে । শ্রেণি কক্ষে , শ্রেণির বাহিরে সবখানেই ছাত্র - ছাত্রীদের আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে ।

৮ ।  প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ও বাহিরে রাস্তায় ছাত্র - ছাত্রীদের ঘোরাফেরা করতে দেখলে শাসন করতে হবে । দায়িত্ব কর্তব্য পালনে উপদেশ দিতে হবে ।

৯ ।  প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জাতীয় সম্পদ এবং নিজস্ব সম্পদ তাই রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে এবং ছাত্র - ছাত্রীদেরও উদ্বুদ্ধ করতে হবে ।

১০। বিদ্যুৎ যথাযথ ভাবে ব্যবহার করতে হবে । অপচয় করা যাবে না । ফ্যান ও বাতির সুইচ বন্ধ করতে হবে । শেষ পিরিয়ডে যে শিক্ষক - শিক্ষিকার ক্লাস থাকবেন তিনি ফ্যান ও লাইটের সুইচ বন্ধ হয়েছে কিনা নিশ্চিত করবেন ।

১১। শ্রেণি কক্ষে ভালভাবে পড়া বুঝিয়ে বাড়ির কাজ দিবেন এবং ছাত্র - ছাত্রীর পড়া সম্ভবপর আদায় করবেন ।

১২। অধ্যায় শেষ হওয়ার সাথে সাথে ঐ অধ্যায়ের উপর একটি ক্লাস টেস্ট নিবেন ।

১৩। নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করে নম্বরপত্র সহ খাতা অফিসে জমা দিবেন ।

১৪। অফিস , প্রতিষ্ঠানের আঙিনা শ্রেণি কক্ষসহ সর্বত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে । প্রত্যেককেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে ।

১৫। শ্রেণি কক্ষে ও পরীক্ষার হলে মোবাইল ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । নিজে মেনে চলতে হবে এবং ছাত্র - ছাত্রীকে মেনে চলতে শিখাবেন ।

১৬। রুচি সম্মত শালীন পোষাক পরিধান করে প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে । দৃষ্টিকটু ছেলেমীপনা পোষাক পরিধান করা যাবে না । যেমন : গেঞ্জি , ফতুয়া , একটি শার্টে বিভন্ন রং এর কাপড় ব্যবহার ।

১৭। ছাত্র - ছাত্রী হাজিরা খাতায় প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে উপস্থিতি অনুপস্থিতির হিসাব সম্পন্ন করে ছাত্র - ছাত্রীদের জানিয়ে দিতে হবে ।

১৮। ছাত্র - ছাত্রীর নিকট থেকে প্রতি মাসে বেতন আদায় করতে সচেষ্ট হবেন ।

১৯। ছাত্র - ছাত্রীর ডায়েরি তদারকি সহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান ও স্বাক্ষর করবেন ।

২০। শ্রেণি শিক্ষকগণ বছর শেষে ছাত্র - ছাত্রীর ৫০ নম্বরের মৌখিক মূল্যায়ণ করবেন - ডায়েরি লিখন -১০ , আচার - আচরণ -১০ , উপস্থিতি -১০ , পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা -১০ , খেলাধূলা ও সহপাঠ কার্যক্রম -১০ , এই নম্বর প্রগতি বিবরণীতে যুক্ত হবে এবং মেধাক্রমে ভূমিকা রাখবে ।

২১। ছাত্র - ছাত্রীদের ক্লাসে , প্রতিষ্ঠানে , কোন অনুষ্ঠান চলাকালে নিরবতা পালনের প্রশিক্ষণ দিবেন ।

২২। অধ্যক্ষের অফিসের নিকট , শিক্ষক মিলানয়তনের সামনে ছাত্র - ছাত্রীদের ডাকবেন না এবং পূর্ণ নিরবতা পালন করবেন । ছাত্র - ছাত্রীদেরও নিরব রাখবেন ।

২৩। কোন দলীয় রাজনীতি নিয়ে প্রতিষ্ঠানে আলোচনা - সমালোচনা করা যাবে না । মনে রাখবেন এই প্রতিষ্ঠানটি ধূমপানমুক্ত , নকলমুক্ত ও রাজনীতিমুক্ত ।

 

ছাত্র / ছাত্রীদের আচরণ - বিধি ও বিশেষ নির্দেশনাবলী :

 

১। পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করে সকল কাজ আরম্ভ করবে ।

২। পিতা - মাতা , শিক্ষক - শিক্ষিকা ও বড়দের শ্রদ্ধা করবে এবং সালাম দিবে ।

৩। অধ্যবসায়ী ও পরিশ্রমী হবে । কখনও হতাশ হবে না । সকল কাজে স্রষ্টার উপর ভরসা রাখবে এবং তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করবে ।

৪। সৎ চিন্তা করবে , সৎ পথে চলবে , সত্য কথা বলবে । ভাল কাজ এবং ন্যায়ের প্রশংসা ও সমর্থন করবে এবং মন্দ কাজ ও অন্যায়কে ঘৃণা করবে এবং প্রতিবাদ করবে । কখনও অন্যের ক্ষতি করবে না । সাধ্যমত পরোপকার করার চেষ্টা করবে । অসহায় ও বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াবে ।

৫ ।  নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধান করে বিদ্যালয়ে আসা বাধ্যতামূলক । কর্মদিবস / কর্মঘণ্টার বাইরে খেলাধূলা ছাড়া কোচিং , পরীক্ষা বা লেখা - পড়ার জন্য বিদ্যালয়ে আসলেও ইউনিফর্ম পরিধান করে আসতে হবে ।

৬ ।  ক্লাস আরম্ভ হওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে বিদ্যালয়ে আসবে , যথারীতি সমাবেশে যোগদান করবে , উচ্চতার ক্রমানুসারে সমাবেশ সারিতে দাঁড়াবে এবং সমাবেশ শেষে সারিবদ্ধভাবে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করবে ।

৭ ।  শ্রেণি ঘণ্টা বাজার পর ২/৩ মিনিটের মধ্যে যদি কোন শিক্ষক - শিক্ষিকা শ্রেণিকক্ষে না আসেন , তাহলে ক্লাস ক্যাপ্টেন অধ্যক্ষ / সহকারি প্রধান শিক্ষককে অবশ্যই জানাবে ।

৮ ।  ক্লাস চলাকালে টিফিন পিরিয়ড ব্যতীত অন্য কোন সময় কোন ছাত্র - ছাত্রী শ্রেণিকক্ষের বাইরে যেতে / ঘোরাফেরা করতে পারবে না । ক্লাস চলাকালে বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করা অত্র বিদ্যালয়ে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ ।

৯ ।  বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ এবং শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার - পরিচ্ছন্ন রাখবে । ময়লা - আবর্জনা , ছেঁড়া কাগজ ইত্যাদি যত্রতত্র না ফেলে অবশ্যই সংরক্ষিত স্থানে ফেলতে হবে । পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কমিটির সদস্যদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে ।

১০। বহিরাগত বন্ধুবান্ধব নিয়ে কোন ছাত্র - ছাত্রী বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না ।

১১। ক্লাস শুরুর পূর্বে এবং টিফিন পিরিয়ডের পর ওয়ার্নিং বেল বাজার সাথে সাথে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করবে ।

১২। বিদ্যালয়ের সম্পদ কেউ নষ্ট করবে না , কোন সম্পদ নষ্ট হতে দেখলে বাধা দেবে এবং কর্তৃপক্ষকে তৎক্ষণাৎ জানাবে ।

১৩। কোন ছাত্র - ছাত্রী বিদ্যালয় থেকে পালিয়ে গেলে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে ।

১৪। নিয়মিত পড়া শিখে বিদ্যালয়ে আসবে এবং বাড়ির কাজ করে আনবে ।

১৫। শ্রেণিতে পাঠদান করার সময় মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং বুঝতে চেষ্টা করবে । কোন পাঠ ভাল করে বুঝতে না পারলে দাঁড়িয়ে শিক্ষক - শিক্ষিকার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং আবার বুঝিয়ে দিতে অনুরোধ করবে ।

১৬। প্রতি পিরিয়ডে শিক্ষক - শিক্ষিকাগণ যে পাঠদান করবেন এবং বাড়ির কাজ দিবেন তা সংক্ষিপ্তভাবে ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করতে চেষ্টা করবে ।

১৭। পরীক্ষার হলে কোনভাবেই নকল করার চেষ্টা করবে না । কথা - বার্তা বলবে না , বই - পত্র বা লেখা কোন কাগজ সঙ্গে রাখবে না । শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সাথে আনবে । পরীক্ষায় নকল করা অমার্জনীয় অপরাধ । নকল করলে বা নকল করার চেষ্টা করলে তাকে তৎক্ষণাৎ বহিষ্কার করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

১৮। বিদ্যালয়ে আসা এবং যাওয়ার সময় রাস্তার ডান পাশ দিয়ে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে এক সারিতে চলবে ।

১৯। শ্রেণিকক্ষে এবং ছুটির ঘণ্টা বাজার পর কোন রকম হৈ চৈ করা যাবে না । ছুটির পর প্রথমে ছাত্রী এবং তারপর ছাত্র সারিবদ্ধভাবে নিঃশব্দে শ্রেণিকক্ষ ত্যাগ করবে এবং অযথা বাইরে ঘুরাফেরা না করে সরাসরি বাড়ি চলে যাবে ।

২০। প্রত্যেক ছাত্র - ছাত্রী ডায়েরিটি যথাযথভাবে ব্যবহার করবে । ডায়েরিটি সঠিকভাবে ব্যবহৃত হলো কিনা তা দেখার জন্য শ্রেণি শিক্ষকের নির্দেশ মোতাবেক তা জমা দিতে হবে ।

২১। ছাত্র - ছাত্রীদের পরস্পরের মধ্যে অশোভন , অশালীন , অভদ্র ঠাট্টা - তামাশা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ।

২২। দেয়ালে , দরজায় , বেঞ্চে বা অন্য কোথাও কোন ছাত্র - ছাত্রী কিছু লিখবে না ।

২৩। ডায়েরিটি হারিয়ে ফেললে ৮০ / - টাকা জরিমানা দিয়ে আবার নিতে হবে ।

২৪। প্রতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ঐ মাসের বেতন পরিশোধ করবে । একাধিক মাসের বেতন বাকি থাকলে নিয়মানুযায়ী হাজিরা বহি হতে নাম কাটা যাবে । সেক্ষেত্রে বকেয়া বেতন এবং ভর্তি ফি পরিশোধপূর্বক পুনরায় ভর্তি হতে হবে ।

২৫। ছাত্র - ছাত্রীকে পরিষ্কার - পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে । নখ ছোট করে কাটতে হবে ।

২৬। ছাত্রদের চুল ছোট রাখতে হবে এবং স্মার্ট ইন করতে হবে ও বেল্ট পড়তে হবে ।

২৭। শ্রেণিকক্ষে কোন কিছু খাবে না । যেখানে সেখানে থুথু ফেলবে না ।

২৮। কোন বিষয়ে বুঝার দরকার হলে ক্লাস শুরু হওয়ার আগে অথবা ক্লাস শেষ হওয়ার পরে টিফিন পিরিয়ডে শিক্ষকের সাহায্য কামনা করবে ।

২৯। ছাত্র - ছাত্রীরা নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে । মুসলমান ছাত্র - ছাত্রীরা অবশ্যই নিয়মিত দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে ।

৩০। লাইব্রেরি থেকে নেয়া বই যথাসময়ে ফেরত দিবে । কখনও বইয়ের পাতায় কিছু লিখবে না বা পাতা ছিঁড়বে না ।

৩১। প্রগতি বিবরণীতে নম্বর , শিক্ষকের মন্তব্যে ঘষা - মাজা করবে না । প্রগতি বিবরণীতে অবশ্যই প্রকৃত অভিভাবকের স্বাক্ষর আনতে হবে এবং নির্দিষ্ট তারিখে ফেরত দিতে হবে ।

৩২। ক্যামেরা , মোবাইল ফোন এবং পাঠকার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত নহে এমন কিছু কখনও আনা বা বহন করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ । এমন কিছু পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং শাস্তি পেতে হবে ।

 

ছাত্র / ছাত্রীদের পালনীয় কতিপয় বিধি ও নিয়মাবলী :

 

১। শ্রেণিকক্ষে তোমাকে অবশ্যই তোমার ক্লাস ক্যাপ্টেনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে এবং তার নির্দেশনা অবশ্যই যথাযথভাবে মানতে হবে । তোমার বেঞ্চ যথাযথ পরিষ্কার আছে কিনা তা নিশ্চিত করবে । যদি তুমি ক্লাস ক্যাপ্টেনের নির্দেশ অমান্য কর এবং যদি সে তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তবে তোমাকে শাস্তি পেতে হবে । প্রতি শাখায় ৪ জন ক্যাপ্টেন থাকবে ।

২। উপরের শ্রেণির ছাত্র - ছাত্রীদের নিরূপভাবে সম্বোধন করবে :

ক ) ছাত্রদের প্রতি- “ ভাইয়া ”

খ ) ছাত্রীদের প্রতি- “ আপু ”

গ ) ছোটদেরকে ভদ্র ও আন্তরিকতার সাথে নাম ধরে ডাকবে ।

৩। বিদ্যালয়ের সম্পদ :

এই বিদ্যালয় তোমার । ইহার সম্পদ তোমার সম্পদ । ইহার তত্ত্বাবধান কর , রক্ষণাবেক্ষণ কর এবং ইহার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত কর । নীচের বিষয় সমূহ মনে রাখবে :

ক ) ব্যবহারের পূর্বে পানির গ্লাস ভালভাবে পরিষ্কার করবে , গ্লাস যত্রতত্র রাখবে না ।

খ ) শ্রেণিকক্ষ ত্যাগের পূর্বে ইহার ফ্যান ও লাইটের সুইচ ( যদি থাকে ) বন্ধ করবে ।

গ ) জানালা খোলা ও বন্ধের সময় লক্ষ্য রাখবে যাতে ইহার কোন ক্ষতি না হয় । খোলার পর ঠিকমত ইহার হুক লাগাবে ।

ঘ ) বেঞ্চে , দেয়ালে অথবা বিদ্যালয়ের অন্য কোথাও কোন কিছু লিখবে না ।

ঙ ) মার্কার ব্যবহারে মিতব্যয়ী হবে ।

চ ) অধ্যক্ষের অফিসের সামনে অকারণে ঘোরাফেরা করবে না ।

৪। ব্যক্তিগত জিনিসপত্র :

ক ) বিনা অনুমতিতে কখনো কারও ব্যক্তিগত কোন জিনিস নিবে না ।

খ ) ছাত্র - ছাত্রীর ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের নিরাপত্তার জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না ।

গ ) নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ম - নির্দেশনা অনুযায়ী এমনভাবে তোমার সাইকেল রাখবে যাতে অন্যের সাইকেল রাখতে কোন অসুবিধা না হয় । অবশ্যই মজবুত তালা লাগিয়ে ইহার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ।

ঘ) ব্যক্তিগত জিনিসপত্র যথা- ( ১ ) ব্যাগ , ( ২ ) কলম / পেন্সিল , ( ৩ ) বই - খাতা , ( ৪ ) ছাতা , ( ৫ ) হাত ঘড়ি , ( ৬ ) জ্যামিতি বক্স , ( ৭ ) স্কেল , ( ৮ ) টিফিন বক্স ইত্যাদির প্রতি খেয়াল রাখবে ।

ঙ ) শেণিকক্ষের বাইরে গেলে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ব্যাগের ভিতর রাখবে ।

চ ) ব্যক্তিগত জিনিসপত্র হারালে দায়িত্বে অবহেলার জন্য শাস্তি পেতে হবে । তাই সর্বদা সতর্ক থাকবে । যদি কেহ বিনা অনুমতিতে তোমার ব্যক্তিগত জিনিস নেয় সঙ্গে সঙ্গে তা শ্রেণি শিক্ষক / প্রধান শিক্ষককে জানাবে । এরূপ কৃতকর্মকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

৫। বিদ্যালয়ে উপস্থিতি :

ক ) প্রত্যেক ছাত্র - ছাত্রীকে অবশ্যই নিয়মিত উপস্থিত থাকতে হবে ।

খ ) ছাত্র - ছাত্রী কোন কারণে কোন দিন অনুপস্থিত থাকলে পরের দিন প্রকৃত অভিভাবকে সাথে নিয়ে আসতে হবে অথবা অনুপস্থিতির কারণ উল্লেখপূর্বক অভিভাবকের স্বাক্ষরসহ দরখাস্ত জমা দিতে হবে । ফোনে সহকারি প্রধান / শ্রেণি শিক্ষকের সাথে অভিভাবক কথা বলবে ।

গ ) প্রত্যেক মাসের শেষে হাজিরা বিবরণীতে উল্লিখিত ঐ মাসের মোট কার্যদিবস , ছাত্র - ছাত্রীর উপস্থিতি , অনুপস্থিতির রেকর্ড অভিভাবককে দেখাতে হবে এবং এতে তাঁর স্বাক্ষর নিতে হবে । কোন ছাত্র - ছাত্রী শিক্ষকের বিনানুমতিতে একনাগাড়ে ১ মাস অনুপস্থিত থাকলে তার ভর্তি বাতিল করা হবে এবং হাজিরা বহিতে নাম কাটা যাবে এবং ভর্তি ফি ও অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ পূর্বক তাকে পুনরায় ভর্তি হতে হবে ।

ঘ ) কোন ছাত্র - ছাত্রীকে মোট কার্যদিবসের ন্যূনতম ৮৫ % অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে । অন্যথায় , তাকে বার্ষিক পরীক্ষা দিতে না দেয়া সহ অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে । তবে উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ ছাত্র - ছাত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মেডিকেল গ্রাউন্ডে তার অনুপস্থিতি অধ্যক্ষ / সহকারী প্রধান শিক্ষক মাফ করতে পারবেন ।

ঙ ) কোন ছাত্রী উপবৃত্তির শর্ত ( ৭৫ % কার্যদিবস উপস্থিতি থাকা , বিবাহ না করা , পরীক্ষায় গড়ে ৪৫ % নম্বর পাওয়া ইত্যাদি ) পূরণ না করলে উপবৃত্তির জন্য তার নাম সুপারিশ করা যাবে না । সাংবাৎসরিক কার্যদিবসের উপর ছাত্র - ছাত্রীর উপস্থিতির হারের ভিত্তিতে শিক্ষক মণ্ডলীর

চ ) সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্দিষ্ট নম্বর প্রদানের ব্যবস্থা থাকবে ।

পরীক্ষা :

৬। প্রতি শিক্ষাবর্ষে ৩/৪ টি মূল্যায়ণ পরীক্ষা এবং ২ টি সাময়িক পরীক্ষা নেয়া হবে । পরীক্ষার

ক ) বিষয় এবং নম্বর শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ছাত্র - ছাত্রীদের জানিয়ে দেয়া হবে । তাছাড়াও বিষয় শিক্ষক তার সিদ্ধান্তে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রেণি পরীক্ষা নিবেন ।

শিক্ষাবর্ষের শেষে সকল বিষয়ে সম্মিলিতভাবে একটি মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং

খ ) ছাত্র / ছাত্রীর সাংবাৎসরিক মূল্যায়ণ করা হবে । মৌখিক পরীক্ষা ও মূল্যায়নের মোট নম্বর : ৫০ এবং মানবণ্টন- ডায়েরি লিখন : ১০ , উপস্থিতি : ১০ , আচার - আচরণ : ১০ , পরিষ্কার - পরিচ্ছন্নতা : ১০ , খেলাধুলা ও সহপাঠ কার্যক্রম : ১০। অধ্যক্ষ প্রয়োজনে কোন শিক্ষাবর্ষের জন্য মৌখিক পরীক্ষা ও মূল্যায়নের মোট নম্বর ও মান বণ্টন পূনঃনির্ধারণ পারবেন ।

গ)প্রতি বিষয়ের পূর্ণমান ১০০ নম্বর ধরে ঐ বিষয়ে বৎসরের সকল পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের গড়মান নির্ণয় করা হবে । সকল বিষয়ে এরূপ নির্ণীত গড় নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে সাংবাৎস রিক ফলাফল এবং মেধাক্রম নির্ণয় করা হবে । প্রত্যেক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা প্রতিটি ছাত্র - ছাত্রীর জন্য বাধ্যতামূলক ।

ঘ) উপর্যুপরি কয়েকটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।

৭। অনুষ্ঠান ও ক্লাসপূর্ব সমাবেশ :

ক ) বিদ্যালয়ে কোন অনুষ্ঠান চলাকালে পূর্ণ নীরবতা পালন করবে ।

খ ) ক্লাসপূর্ব সমাবেশে যথারীতি যোগদান করবে , উচ্চতার ক্রমানুসারে সমাবেশ সারিতে দাঁড়াবে ।

গ ) অযথা কথা - বার্তা বলা গ্রহণযোগ্য নয় ।

৮। কোন দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় সম্পৃক্ততা , প্রত্যক্ষ / পরোক্ষভাবে বিদ্যালয়ে কোন রাজনৈতিক মতবাদের সমর্থন / বিরোধিতা , আলোচনা / সমালোচনা , প্রশংসা / অবজ্ঞা , অনুকরণ , অনুসরণ , অনুশীলন , প্রচার , প্রসার , অনুপ্রেরণা , প্ররোচনা , পরামর্শ , উৎসাহ অথবা অনুরূপ কোন কাজ সম্পূর্ণ ও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে । তবে ছাত্র জীবনের অংশ হিসাবে জ্ঞানার্জন ও সহপাঠ কার্যক্রম সংশিষ্ট ছাত্র - ছাত্রীদের সংগঠন , যথা - ল্যাংগুয়েজ ক্লাব , সাইন্স ক্লাব , ডিবেটিং ক্লাব , দাবা ক্লাব ইত্যাদি এবং এদের কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা হবে । অনুরূপ প্রত্যেক ছাত্র সংগঠনের অবশ্যই একজন শিক্ষক উপদেষ্টা থাকতে হবে এবং তাঁর পরামর্শ ব্যতীত সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না । উপদেষ্টার কর্তব্য হবে দায়িত্বশীল আচরণ করা । ছাত্র - ছাত্রীবৃন্দ উপযুক্ত কোন সংগঠন গঠন করতে চাইলে তাদেরকে একজন শিক্ষক উপদেষ্টার ব্যবস্থা করতে হবে এবং অধ্যক্ষের অনুমতি নিতে হবে ।

৯। প্রতিষ্ঠানের ইউনিফর্ম :

স্কুল শাখা : বালক - কালো প্যান্ট , গাঢ় সবুজ রং এর শার্ট , পকেটে মনোগ্রাম , কাঁধে শোল্ডার ব্যাজ , সাদা জুতা ও সাদা মোজা ।

বালিকা- সাদা সালোয়ার , গাঢ় সবুজ রং এর কলার ওয়ালা কুচি দেওয়া ফ্রক , ডান হাতায় মনোগ্রাম , কাঁধে শোল্ডার ব্যাজ , সাদা বেল্ট , সাদা ওড়না , সাদা স্কার্ফ , সাদা জুতা ও সাদা মোজা ।

কলেজ শাখা : বালক- কালো প্যান্ট , ইট কালারের শার্ট , পকেটে মনোগ্রাম , কাঁধে শোল্ডার ব্যাজ , কালো জুতা ।

বালিকা - সাদা সালোয়ার , ইট কালারের কুচি দেওয়া ফ্রক , কাঁধে শোল্ডার ব্যাজ , ডান হাতায় মনোগ্রাম , সাদা ওড়না , সাদা বেল্ট , সাদা স্কার্ফ , সাদা জুতা ও সাদা মোজা ।

 

বি.দ্র . পোষাকে নির্ধারিত ডিজাইনের বাহিরে অন্য কোন ডিজাইন করা যাবে না ।